কিছু জিনিস গুপন থাকাই ভালো
মফিজ একজন ডাক্তার। সে প্রায় চল্লিশ বছর ধরে পোস্টমর্টেম করে। রিটায়ারমেন্টের সময় চলে আসছে। একজন এসিসট্যান্ট আছে মফিজের, তার নাম হাসমত। বয়স কম আর বেজায় খাচ্চড় প্রকৃতির। আজকে সকালে একটা ডেড বডি আসছে। সেটার পোস্টমর্টেম হাসমতকে শুরু করতে বলে মফিজ গেছে বাইরে চা খাইতে।
একটু পরেই হাসমত দৌড়াইয়া আসছে। হাঁপাইতে হাঁপাইতে বলে, বস জলদি আসেন। একটা জিনিইস দেখানো লাগবো আপনারে। কিছু গন্ডগোল হইসে ভাইবা মফিজ দৌড়াইয়া মর্গে যায়। গিয়া দেখে লাশ তখনো চাদরে ঢাকা।
হাসমত চাদর উঠাইয়া তারে দেখায়। দেখসেন বস - এর মেশিন কত বড়?
আসলেই... ডেডবডির পেনিসের সাইজ দেইখা মফিজের চোখ কপালে উঠে যায়। এইটারে কোনভাবেই ন্যাচারাল মনে হয় না তার কাছে। সে মফিজরে বলে, চাকু আর ফরমালিন নিয়া আসতে। নিজের হাতে লাশের বডি থেইকা পেনিস কাইটা ফরমালিনের জারে রাখে। এই জিনিস বাসায় নিয়া বউরে না দেখালেই নয়। তার চল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতায় এত বড় জিনিস সে দেখে নাই। বউরে দেখায়া একটা সারপ্রাইজ দেয়া যাবে। তাই অনৈতিক হইলেও সে এই চুরিটা করে।
- এই লোকের নাম কিরে হাসমত?
- এর নাম ছিলো আবুল খন্দকার। কিন্তু আপনে এইডা কাটেন ক্যান?
- বিজ্ঞান গবেষনার জইন্য অনেক কিছু করতে হয়রে হাসমত। তুই নাদান মানুষ, তোর আরো শিখার বাকি আছে।
আবুল তুমি একটা মাল... বিড়বিড় করে বলে মফিজ।
সন্ধ্যায় বাসায় গিয়া বউরে সারপ্রাইজ দিবে ভাইবা মফিজ তার ব্যাগ থেকে ফরমালিনের জারটা বাইর করে।
- দ্যাখো...বউ আজকে কি পাইসি। এইরকম জিনিস আগে কোনদিন দ্যাখসো?
মফিজের বউ একবার তাঁকাইয়াই কান্না কান্না স্বরে কয়, সেকি...! আবুল মইরা গ্যাছে?
------
কৌতুক শেষ এখন একটা প্রবাদ বাক্য বলি। কুত্তার লেজ কোনদিন সোজা হয় না। আমরা সারপ্রাইজড হই নাই, আমরা কেউ মফিজ না, মফিজের বউ ও না।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন