ঝগড়া

সদানন্দ আর ভোমায় ঝগড়া লাগসে। প্রথমদিন সদানন্দ ফোন দিয়া কি যে কইল সেইটা আমার মাথার উপর দিয়া গেল। তবে এটা শিওর - ভোমায় অরে খান... মাগি কইয়া গাইল দিসে। তার বউরে নিয়াও নাকি মেলা আকাশ-পাতাল বক্তব্য দিয়েছে।

আমি শুধু শুনলাম আর হুঁ হুঁ করলাম। 

কোন মন্তব্য করতে পারি নাই দেইখা সদানন্দ কিছুটা ক্ষেপল আমার উপর। দুইবার ফোন দিয়াও তারে পাই নাই পরেরদিন।

এরপর ভোমায় আবার ফোন দিয়া একইরকম স্ক্রিনশট পাঠায়া কয়, সদানন্দ হালায় একটা মাতাল, উজবুক।

আমি শুধু শুনলাম আর হুঁ হুঁ করলাম। 

অন্যসময় কেউ ঝগড়া লাগলে মনে বেজায় আনন্দ হয়। আজকে কিছুই ফিল হইল না। নিরব থাকলাম। তারমানে আমি কবি হতে পেরেছি।

কারন, "কবি এইখানেই নিরব।"

নিরবতা আবার সম্মতির লক্ষন। সেই হিসেবে সদানন্দ আর ভোমা দুইটাই বলদ কিসিমের। সেইটাতে আমি সম্মতি দিসি। মারামারি লাগসে তাদের বউগো কথাবার্তা নিয়া। মাইয়ালোকের ক্যাচাল বিয়ার পরেও গেলনা। এই জন্যেই কবি বলেছেন পুরুষের সবথেকে বড় শত্রু তার নুনু।

বিয়া জিনিসটার ম্যালা ক্যাচাল আছে। না করলেও সমাজ বলবে তুমি খারাপ পাড়ায় যাও, আর করলে বলবে বউয়ের কথায় চলো।

সমাজের চুষ্টি গুদি তাই।

দুইদিন পরে, ভোমার ম্যারেজ এনেভার্সারিতে সদারে ফোন দিয়া সে সরি বলছে। ডিনারের দাওয়াত দিসে। আমি যামু কিনা চিন্তা করতেসি। দাওয়াতের ছদ্মবেশে এটা একটা ট্র্যাপ হইতে পারে। দেশে এই রকম মেটিকুল্যাস ডিজাইনের অনেক কিছু ঘটে গেছে। "সুই হইয়া ঢুইকা ফাল হইয়া বের হবার" ইতিহাস এই জনপদে অসংখ্য। আগে এদের নাম মিরজাফর আছিল। এখন অর্গানাইজার নাম নিসে।

আমি হালকার উপর চিপায় ঢুকে যেতে চাচ্ছি। দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে থাকলে সমস্যা।

 


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন