রিসোর্ট
সদানন্দের উপর মেজাজ মহা খাপ্পা হইসে। শালায় রিসোর্টে যাবে ঠিক করসে। তিনজন মিলা গেলে ঠিক ছিল সাথে বউ বাচ্চারেও যুক্ত করসে। এই কারনে ভোমার কাছে তার নামে নালিশ দিলাম। ভোমা নিজেও দেখি কিছু বলে না। সদার লগে তালে তাল মিলাইতেসে। সাথে আমার বউরেও ভাও করসে। বউ দুইবার আইসা বললে গেসে কেমনে যাবে।
মনডা চায় হালার বিচি বরবর একটা উড়ন্ত চুম্বন দিতে।
আমি বুঝাইতে চাইলাম, দেশের এই অবস্থায় ফূর্তি করতে যাওয়া ঠিক না। আর বউ বাচ্চা নিয়া গেলে সেটারে আনন্দ বলে না। সেটা পিকনিক। তারচেয়ে এই টাকাটা বন্যার্তদের দিয়ে দেয়া উচিত।
আমি জিগাইলাম, কি রিসোর্ট?
সদায় কয়, ফাইভ স্টার।
- সুইমিংপুল আছে?
- আছে।
- বার আছে?
- না নাই।
আমি ঘোষনা দিলাম, এইডা আমার বালের ফাইভ স্টার। একটা গর্ত খুইড়া পানি দিলেই যেমন সুইমিংপুল হয় না। ওইটারে পুকুর বলে। তেমনি যেই রিসোর্টে লালপানির ব্যবস্থা নাই, ঐটা একটা পিকনিক স্পট।
- তুই একটা বালেশ্বর।
- যেই বালই হই, আমার কাছে টাকা নাই।
- টাকা নিয়া কি কবরে যাবি? ভোমায় এতক্ষনে মুখ খুলসে।
- কবরে যামু না, তবে টাকা থাকলে চল্লিশায় ভালো খানাদানা পাকানো যাবে।
- তুই একটা ঘাউরা।
- ঘাউরামির কি দেখসস...। সুইমিং পুলে নাইমা ইয়ে করে দিব যখন তখন সেখানে গোসল করিস।
- নাটক বাদ দিয়া চান্দা দে।
- টাকা নাই, কিস্তিতে দিতে হবে। পারলে আমারে একটা ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্তা করে দে। দেশ ও দশের উপকারের জন্য রিসোর্টে গিয়া ইবাদত করব।
- যাবি তাইলে?
- যামু, এক শর্তে। আমি ৫০১ নাম্বার রুমের বুকিং চাই।
ধুর বাল। ভাল্লাগে না। সদানন্দ বিরক্ত হয় আর ভোমায় মুচকি হাসে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন