২রা জুন, ২০২৪

ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়াতেই ট্রাফিক বন্ধু এগিয়ে এসে বললো, এই চোদনা কোথায় যাও?
আমি বললাম, বন্ধু এভাবে কথা বলে না।

তোমার কাগজ দেখাও।

কাগজ দেখাবো কেনো? আমিতো গাড়ি-বাইক কিছুই চালাচ্ছি না।

তাহলে হেলমেট পরে ঘুরতেসো কেন?

ওহ… ভুলে বাসা থেকে নিয়ে বের হয়ে গেছি। হাতে ব্যাথা তাই মাথায় পরে আছি।
“শালা তুমি আমাকে মামা বানাচ্ছো কেন? কাগজ দাও।” সবুজ বন্ধু রেগে গেলো।
আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স আর গাড়ির কাগজ বের করে দিলাম।

বন্ধু এই কাগজতো তোমার দেখার কথা না। তোমার সার্জেন্ট বস কোথায়?

সার্জেন্ট ব্যাস্ত, হাদিয়া নিচ্ছেন। আমি কাস্টমার খুঁজতেসি, পারমিশন আছে।
অহ…। আমি মুচকি হাসি দিয়ে চোখ টিপে দিলাম।

হেলমেট পরে ঘুরবা না। তুমি কি রাজনীতি করো?

না বন্ধু, আমি মদনা জনগন। মাঝে মধ্যে সিদ্ধি খাই বাবার দরবারে গিয়া।

তোমার কথাবার্তা সন্দেহজনক। তুমি রাস্তায় থাকবা না।

“জ্বী জনাব… তথাস্তু” আমি লম্বা পা ফেলে হাঁটা দিলাম। গনির সাথে চায়ের মিটিং আছে। এই অর্বাচীনের সাথে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নাই। আজকাল সত্যি কথার ভাত নাই।

গনির দোকানে এসে দেখি মেলা ভিড়। একজন ফ্রেঞ্চকাট দাড়িওয়ালা গনির চায়ের দুধ নিয়ে সন্দেহ পোষন করছেন। এইটা গরুর দুধ না।
গনি বেজায় খেপে আছে। সে বারবার বলছে, “আমি গরুর দুধ দিয়া চা বানাই না। আমার সব পাউডার মিল্ক।”
আমি হেলমেট পরা মাথা গলিয়ে দিলাম।

গনি ভাই ঠিক বলতেসে। গরুর দুধের চা ভালো হয়না। পাউডার মিল্কই উত্তম।
হেলমেট পরা আমাকে দেখে ভদ্রলোক বেজায় সন্দেহ নিয়ে তাঁকালেন।

আপনে কে মিয়া, গনির আত্মীয়?

নাহ, আমি কাষ্টমার…। গনি ভাই, সিদ্ধি দিয়া একটা রঙ চা দাওতো।
ভদ্রলোক চা খাবেন না বলে হাঁটা দিলেন। একবার পেছন ফিরে আমাকে ব্যাপক সন্দেহ নিয়ে দেখে নিলেন।

ভাই, চা খেয়ে যান। গরুর দুধেরটা মজার না, গাভীর হলে অবশ্য মজা পেতেন। আর পাউডারে একটা হেরোইন হেরোইন ভাব আছে।
তার হাঁটার গতি বেড়ে গেলো। সকাল সকাল পাগলের পাল্লায় পড়াটা দূর্ভাগ্যের।
গনি অবশ্য মুখ বাঁকা করে ফেলেছে। আমার কথাবার্তা তার পছন্দ না। হাজারহোক গনি একজন উচ্চমার্গীয় জ্ঞানি ব্যাক্তি। নেহাত সকাল বেলা সবার বউ চা বানায় দেয় না দেখে গনি জনসেবা করে যাচ্ছে।

কাপু উইথ লাভ ফ্রম রোড টু প্যারিস

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন